ছোট বেলায় "Aim in Life" রচনায় নিজেকে "Doctor" কল্পনা করেনি এমন শিক্ষার্থী খুব ই পাওয়া যাবে৷ গায়ে সাদা এপ্রোন আর গলায় স্টেথোস্কোপ ঝোলানোর স্বপ্ন অনেক শিক্ষার্থীর ই থাকে তবে চান্স পায় যৎসামান্যই. এডমিশন টেস্ট হলো এমন এক পরীক্ষা যার কোনো শর্টকাট নেই। মনে রাখবে, ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থী বাছাই না, বরং বাদ দেওয়ার পরীক্ষা। আর তোমার কাজ হলো তুমি যেন কিছুতেই সেই বাদ পড়ে যাওয়া অংশে না পড়ো সেটা নিশ্চিত করা। মার্কিন লুথার কিং বলেছিলেন : “যদি উড়তে না পার, তবে দৌড়াও; যদি দৌড়াতে না পার, তবে হাঁটো; হাঁটতে না পারলে হামাগুড়ি দাও। যে অবস্থাতেই থাকো, সামনে চলা বন্ধ করবে না।” তোমার এই পথ চলাকে সহজ করতেই তোমার পাশে আছে মেডিকেল আওয়ার ড্রিম
মোট শিক্ষার্থী
চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী
অভিজ্ঞ ইন্সট্রাক্টর
আসসালামু আলাইকুম। আমি মাইশা মামুন একুশ. আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনা জেলার রূপসী রূপসা উপজেলার ছোট্ট সুন্দর একটি গ্রামে,নাম চাঁদপুর।৫ম শ্রেণি পর্যন্ত নারিকেলি চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি.তারপর পিঠাভোগ ডি.জি.সি. মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০সালে এসএসসি পাস করি।এরপর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে hsc পাস করি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া।স্বপ্ন দেখা শুরু করি কাজিনদের দেখে,আপু-ভাইয়ারা অনেকেই এখন স্পেশালিষ্ট। কাছের মানুষদের অসুস্থতা দেখে সেই ইচ্ছা আরো বেগবান হয়।তাই ছোট থেকেই মনস্থির করি যে ইন শাহ আল্লাহ ডাক্তার হতেই হবে। মেডিকেল এডমিশন ভালো করার পূর্বশর্ত hsc থেকেই সব ব্যাসিক ক্লিয়ার রাখা,পড়াশোনায় রেগুলারিটি ধরে রাখা।এখন আমার প্রিপারেশন সম্পর্কে বলি: বায়োলজি : যেহেতু ৩০% মার্ক,সো প্রস্তুতি শতভাগ হওয়া মাস্ট,তাই একদম শুরু থেকেই হাসান স্যার ও আজমল স্যারের প্রতিটি লাইন বুঝে বুঝে পড়তাম।কিছু কনফিউশান হলেই গুগল, ইউটিউবে সার্চ। এক্ট্রা রাইটার বোটানি আজিবুর স্যার & জুলোজি আলীম স্যার ফলো করতাম; এগুলোর লাইন বাই লাইন না পড়লেও এক্সট্রা ইনফোগুলো নিজে খুঁজে বইয়ে দাগিয়ে রাখতাম।যেকোনো কঠিন টপিক নেমোনিক দিয়ে মনে রাখার ট্রাই করতাম।সবসময় পড়া গোছাতে ভালো লাগতো,তাই অনেক নোট ও করতাম।কঠিন চার্টগুলো লিখে পড়ার টেবিলের আশেপাশে টানিয়ে রাখতাম,যেন বারবার দেখে মুখস্থ হয়।সেকেন্ড ইয়ার থেকে কোশ্চেন ব্যাংক পড়া শুরু করি।এছাড়া অনলাইনের যেকোনো পরীক্ষায় না পারলেও এটেন্ড করতাম; এতে লাভ হয়েছিল আমি অনেক টাইপের কোশ্চেনের সাথে পরিচিত হই। সিলেবাস শেষ হবার পর ও বারবার রিভাইজ দিতাম,যেটা ভালো করার জন্য অপরিহার্য ছিল। কেমিস্ট্রি: hsc তে ভালো করার জন্য কনসেপ্ট ক্লিয়ার + math practice, কিন্তু মেডিকেমিস্ট্রি বেশ আলাদা, কনসেপ্টের সাথে অনেক মুখস্থ ও করা লাগে।তাই শুরুতে কেমিস্ট্র অনেক ভয় পেতাম। মার্ক ২৫%,তাই কঠিন হলেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। হাজারী স্যারের বই ই ভালো করে পড়ছিলাম।এক্সট্রা ইনফোর জন্য আলাদা বই না কিনে কোচিং এর প্র্যাকটিস বুক ফলো করতাম। অনুশীলনী + বইয়ের শেষের কোশ্চেন কমপক্ষে ২০বার রিভাইজ করছিলাম বিকজ এখান থেকেই প্রায় সব কমন পড়ে।ম্যাথের সব সূত্র, সংখ্যাভিত্তিক ইনফো, কঠিন চার্ট সব আলাদা নোটবুকে লিখে ডেইলি রিভাইজ করতাম।আয়ন শনাক্তকরণ,জৈব যৌগের নামীয় বিক্রিয়া,পলিমারের ইউজ,পরিবেশ রসায়নের চার্ট সব নিজের মতো সহজ করে লিখে বারবার পড়তাম।প্রচুর রিভাইজ& কোশ্চেন সলভ মাস্ট ভালো করার জন্য। ফিজিক্স : comparatively easy,কিন্তু এটা ভেবে অবহেলা করলে শেষ!! ইসহাক স্যারের অনুশীলনী থেকেই কমন পড়ে,সো এইটা & বইয়ের শেষের কোশ্চেন বুঝে বুঝে সলভ করা মাস্ট। hsc র কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকলে বেশ সহজ ই লাগবে। ইসহাক স্যারের দাগানো লাইন + সারসংক্ষেপ এনাফ।এক্ট্রা ইনফো দরকার হয়না,তারপরও কেউ চাইলে আমার মতো তপন স্যার পড়তে পারো। আর ম্যাথ পারার জন্য সব সূত্র একটা নোটবুকে লিখে বারবার পড়তে হবে। ক্যালকুলেশন স্পিড বাড়াতে প্রচুর প্র্যাকটিস দরকার।তবে অনুশীলনীর (BUET,CKRUET,SUST) এ আসা বড় বড় ম্যাথ স্কিপ করা উচিৎ। জিকে: আমার ফেবারিট টপিক! শুরুতে নোট করতাম।"বাংলাদেশ,ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ"- সিলেবাস। কনফিউজিং পড়া,তাই সেম টপিক বিভিন্ন বই থেকে বারবার পড়তাম যেন মনে থাকে। আর জিকে মনে রাখতে নেমোনিক /গল্প মাস্ট! MAT,DAT,BCS(10-44th),DU & তারপর পারলে অন্য ভার্সিটির কোশ্চেন সলভ & মুক্তিযুদ্ধটা যেকোনো বই থেকে ডিটেইলস পড়লেই আমার মতে এনাফ হবে। ইংলিশ : সবাই যেটা ভয় পায়!! হাজার পড়লেও কমন পড়েনা!! শুরুতেই বলি,তোমার কমন পড়ুক আর না পড়ুক, পারলেই হলো।তাই প্রশ্ন দেখে ভয় না পেয়ে চিন্তা করতে হবে।আমি প্রিভিয়াস কোশ্চেন বারবার সলভ করেছিলাম।synonym -antonym,parts of speech,preposition, group verb,correction, spelling, translation, proverb এগুলো বারবার পড়তে হবে।grammar পার্টের rules গুলো নোট করে পড়লে বেটার। প্রচুর কোশ্চেন সলভ + এক্সাম দিতে হবে । অনেক বড় সিলেবাস, মাত্র ৩-৪মাসে শেষ করা প্রায় অসম্ভব। তাই hsc থেকেই প্রিপারেশন নেওয়া উচিত।আমি সেকেন্ড ইয়ারে আফসানা আপুর প্রি মেডিকেলে ছিলাম। আপুর ক্লাসগুলো অনেক সুন্দর ছিল!রিভিশন টাইমে দাগানো বই অসম্ভব হেল্পফুল ছিল। পিডিএফে সব রাইটারের দরকারি তথ্য একসাথে করা ছিল।তখন থেকেই ডেইলি এক্সাম আমার পরীক্ষাভীতি কমিয়েছিল।hsc র আগেই জিকেই ক্লাস + এক্সট্রা ট্যালেন্ট ব্যাচে ফুল সিলেবাস ক্লাস করা আমার অন্যতম বেস্ট ডিসিশন ছিল. চান্স দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। তাই রেগুলার পড়াশোনার করতে হবে, আল্লাহকে ডাকতে হবে। সর্বোপরি একজন সৎ ও ভালো মানুষ হতে হবে। মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন মানুষ হতে হবে। সেবাই ধর্ম একজন ডাক্তারের ; তাই সবসময় অন্যের উপকার করার চেষ্টা করবে।তোমাদের সকলের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। মডের হাত ধরে এ মহৎ স্বপ্ন পূরণ হোক। আমার জন্য ও সবাই দোয়া করিও।
মাইশা মামুন একুশ
১ম বর্ষ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ
জাতীয় মেধায় ১৫তম
সেশন: ২০২২-২৩
আমি তাসনিয়া তাবাসসুম হিয়া।আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা দুটোই ময়মনসিংহে।আমি বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ময়মনসিংহ থেকে এসএসসি পাস করেছি ২০২০ সালে।মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে এইচএসসি পাস করেছি ২০২২ সালে। ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।সাদা এপ্রোন আর গলায় স্টেথোস্কোপ পরার অনুভূতি কেমন হয় তা জানার কৌতূহল ছিল।আমার যেমন ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ,ঠিক তেমনি আমার বাবা-মাও চেয়েছিল আমি যেন ডাক্তার হই। ইন্টারের শুরু থেকেই তাই আমি অল্প অল্প করে \মেডিকেলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম।এই প্রস্তুতির জন্য আরিফা আপুর প্রি মেডিকেল কোর্সে আমি অ্যাডমিট হয়ে যাই।মূলত ফেসবুক স্ক্রলিং এর মাধ্যমেই আমি মড সম্পর্কে জানতে পারি।এই প্রি মেডিকেল কোর্স করার মাধ্যমে আমি মেডিকেল প্রস্তুতি নেওয়ায় আরো এক ধাপ এগিয়ে যাই। বিভিন্ন বিষয় যেভাবে পড়তাম: বোটানি: ইন্টারের শুরু থেকেই আমার কাছে বোটানি অনেক কঠিন লাগতো,তাই এটাতে আমি বেশি সময় দিতাম।আমি আবুল হাসান স্যার এর বোটানি বইকে মেইন বই রেখে বাকি রাইটার এর বই গুলোর এক্সট্রা ইনফো স্টিকি নোটে লিখে বইয়ে লাগিয়ে রাখতাম।এতে আমার রিভাইস করা সহজ হতো।এইচএসসিতে শর্ট সিলেবাস থাকা সত্ত্বেও আমি আগেই বোটানি ফুল সিলেবাস শেষ করে রেখেছিলাম,কারণ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ফুল সিলেবাসেই হয়।বই পড়ার পাশাপাশি আমি রয়েলের গাইড থেকে এমসিকিউ সলভ করতাম।তবে যেটা না বললেই নয় মূল বই ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। জুলোজি: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বায়োলজিতে ৩০ মার্কস থাকে, যার মধ্যে জুলোজি এমসিকিউ বোটানির তুলনায় বেশি থাকে।তাই জুলোজির উপর অন্য বিষয়গুলোর থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।গাজী আজমল স্যার এর বইকে মেইন বই রেখে বাকি রাইটার এর বইগুলোর এক্সট্রা ইনফরমেশন বইয়ে লিখে রেখেছিলাম। পাশাপাশি গাইড থেকে এমসিকিউ সলভ করেছিলাম।আর প্রত্যেকটা সাবজেক্টের বিগত বছরের কোয়েশ্চন সলভ করেছি। কেমিস্ট্রি: কেমিস্ট্রিতে মার্কস থাকে ২৫, তাই এটার উপর বায়োলজির সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কেমিস্ট্রির মেইন বই হিসেবে আমি হাজারী স্যার এর বই ফলো করতাম, পাশাপাশি কবীর স্যার এর বই থেকে এক্সট্রা ইনফো লিখে রাখতাম।তোমরা লক্ষ করলে দেখবে কিছু বছর ধরে বইয়ের অনুশীলনীর এমসিকিউ থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অনেক প্রশ্ন থাকে, তাই বইয়ের অনুশীলনীর এমসিকিউ ভালোভাবে পড়তে হবে। জৈব যৌগ চ্যাপ্টারটা অনেকেই ইন্টারে ভালোভাবে পড়েনা,তাই বেসিক ক্লিয়ার থাকেনা,কিন্তু তুমি যদি অ্যাডমিশন টাইমে পড়ালেখার চাপ বাড়াতে না চাও তাই আগে থেকেই এই চ্যাপ্টারটা ভালোভাবে আয়ত্তে এনে রাখবে। পাশাপাশি গাইড থেকে তো প্র্যাক্টিস করবেই। ফিজিক্স: মেডিকেলে ফিজিক্সের প্রশ্ন সাধারণত এত কঠিন হয়না,তাই বলে এই সাবজেক্টকে অবহেলা করলে চলবেনা।আমি মেইন বই হিসেবে আমির হোসেন স্যার এর বই ফলো করতাম, শাহজাহান তপন স্যার এর বইয়ের এক্সট্রা ইনফো লিখে রাখতাম। ফিজিক্সে সহজেই ১৮/১৯ মার্কস তোলার জন্য অনুশীলনীর প্রশ্নগুলো একদম মুখস্থ থাকতে হবে,এটা খুবই গুরত্বপূর্ণ।ফিজিক্সে বেশিরভাগ প্রশ্নই এই অনুশীলনী থেকে আসে। পাশাপাশি প্র্যাক্টিস এর জন্য তো গাইড রয়েছেই। জিকে,ইংলিশ: জিকের জন্য আমি এমপি3 আর রেটিনা ডাইজেস্ট ফলো করেছি। বিগত বছরের মেডিকেল প্রশ্ন, বিভিন্ন ভার্সিটির প্রশ্ন, বিসিএস প্রশ্ন এগুলো সলভ করলে জিকেতে ৮/৯ সহজেই পাওয়া যায়।এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ,বঙ্গবন্ধু এসব টপিক ভালোভাবে পড়তে হবে,বেশিরভাগ প্রশ্ন এই টপিকগুলো থেকেই আসে।আর ইংলিশ এর জন্য আমি অ্যাপেক্স আর রেটিনা ডাইজেস্ট ফলো করেছিলাম। সিনোনিম, অ্যান্টনিম যতই পড়া হোক না কেনো এগুলো মনে থাকেনা।তাই বারবার এগুলো পড়তে হবে, ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন আর কিছু রিভাইস করা হোক আর না হোক এটা রিভাইস করতে হবে।ইংলিশের ক্ষেত্রেও জিকের মতো বিগত বছরের মেডিকেল, ভার্সিটি, বিসিএস প্রশ্ন সলভ করতে হবে। আমাদের সময় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুবই অল্প সময় দেওয়া হয়েছিল।এই অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে আরিফা আপু পাশে থেকেছিল বলেই ভর্তিযুদ্ধে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছি।আরিফা আপুর নোটস,দাগানো লাইন,ক্লাস,এক্সাম,মেন্টরিং সবকিছু আমাকে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করেছে।যদি কেউ এইচএসসির পর মেডিকেলের প্রিপারেশন নেওয়ার কথা ভেবে ইন্টারের সময়টা কাজে না লাগাও তাহলে তার জন্য এই অ্যাডমিশন জার্নিটা অনেক দুর্গম হয়ে উঠবে।তাই ইন্টারের শুরু থেকেই প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করতে হবে,সেই অনুযায়ী গুছিয়ে পড়তে হবে,নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি স্রষ্ঠার কাছে প্রার্থনা করতে হবে যেন স্রষ্টা তোমাদের সকলের আশা পূরণ করেন।
-তাসনিয়া তাবাসসুম হিয়া
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
এমবিবিএস ১ম বর্ষ সেশন:২০২২-২০২৩ জাতীয় মেধায় ৩৬তম
আমি চন্দ্রলেখা রায় চৌধুরী। সিলেট বিভাগের সুন্দর ও ছোট্ট একটি উপজেলা শ্রীমঙ্গলে আমরা জন্ম ও বেড়ে ওঠা।সেখানের স্বনামধন্য স্কুল দি বাডস্ রেসিডেন্সিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করি ২০২০সালে।ভর্তি হই হলি ক্রস কলেজে। ছোটবেলা থেকে অনেককিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম।কখনো বিজ্ঞানী,কখনো গণিতের শিক্ষিকা, এমনকি নাসায় চাকরি করারও স্বপ্ন দেখতাম।কিন্তু কখনোই বলতাম না ডাক্তার হবো।এমনকি মানুষ যখন জিজ্ঞেস করতো "তুমি বড় হয়ে কি হবে?" আমার উত্তর ছিলো"আর যাই হই না কেন ডাক্তার হবো না"।সেই আমি এখন মেডিকেল স্টুডেন্ট। ডাক্তার হবার ইচ্ছা মাথায় আসে একাদশ শ্রেণীর মাঝামাঝি সময় থেকে।আফসানা আপু আমাকে অনেক বলতো "চন্দ্র তুমি বায়োলজি অনেক ভালো পারো।তুমি মেডিকেলের প্রেপ নিও।তোমার ঢাকা মেডিকেল হয়ে যাবে।" আমি তখন হাসতাম আর বলতাম "আমি বুয়েট ছাড়া কোনোকিছুর প্রেপ নিবো না।" আপুর কথাগুলো আমাকে ভাবাতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ঠিক করু যে মেডিকেলের প্রেপ নিবো।তখন থেকেই আমি কোশ্চেন ব্যাংকগুলো সলভ্ করা শুরু করি বিগত বছরের। একটা চ্যাপ্টার পড়েই ওই চ্যাপ্টার থেকে বিগত বছরে কি কি প্রশ্ন এসেছে তা হাইলাইট করে রাখতাম।এখন বলি মেডিকেলের জন্য কিভাবে বিভিন্ন সাবজেক্ট পড়তাম : বায়োলজি :ইন্টারে বায়োলজির দুটো পার্ট। জুলোজি আর বোটানি। এদুটো সাবজেক্ট থেকে প্রশ্ন আছে মটো ৩০টা।বোঝাই যাচ্ছে কতটা প্রয়োজনীয় এই ৩০মার্ক।আমি যখন এগুলে পড়তাম তখন শুধুমাত্র একটা বই ফেলো করতাম না।একটা বইকে মেইন রেখে বিভিন্ন রাইটারের বই থেকে অতিরিক্ত ইনফোগুলো স্টিকি নোটস্ অথবা বইয়ের পাশে লিখে রাখতাম।এতে আমার লাভটা কি হয়েছিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রেপ নেওয়ার সময় আমি একটা বই পড়েই অনেকগুলো তথ্য জেনে নিতে পেরেছিলাম।আর আমাদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রেপ নেওয়ার সময় অনেক কম তাই তখন এতোগুলো বই আলাদা করে পড়ারও সময় পাওয়া যায় না।তাই আনার মতে অতিরিক্ত তথ্যগুলো কলেজ জীবনের শুরু থেকেই একটা বইয়ে গুছিয়ে রাখা উচিতচিত। কেমিস্ট্রি:মেডিকেল চান্স পাওয়ার অন্যতম একটি বড়ো হাতিয়ার হলো কেমিস্ট্রি।কেমিস্ট্রির মার্কসই মূলত ঠিক করে দেয় তুমি চান্স পাবা কি ওাবা না কারণ বায়োলজি কম বেশি সবাই পারে। এক্ষেত্রে হাজরী স্যারের বই খুবই ভালো করে পড়া উচিত। বিক্রিয়াগুলোর নাম,তাপমাত্রা, প্রভাবক,যৌগের নাম, ব্যবহার খুব ভালো করে জানতে হবে আর কোশ্চেন ব্যাংক সলভ্ করা তো মাস্ট।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে অনুশীলনীর প্রশ্ন বারবার সলভ করা কারণ বিগত বছরগুলোয় ২৫টি প্রশ্নের মধ্যে ২০-২৪ প্রশ্ন ছিলো হাজারী স্যারের অনুশীলনী থেকে হুবহু নেওয়া।হাজারী স্যারের বই ছাড়াও অন্যান্য রাইটারে বইয়ের অনুশীলনীও সলভ করা উচিত। ফিজিক্স:মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ফিজিক্স থেকে সবচেয়ে সহজ প্রশ্ন আসে।২০ মার্কের মধ্যে খুব সহজে ১৮-১৯ তোলা যায়।অধিকাংশ প্রশ্নই আসে ইসহাক স্যারের বইয়ের অনুশীলনী থেকে।তাছাড়া দাগানো লাইনগুলো,সারমর্ম এসব থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।আমি ফিজিক্সের জন্য হ্যান্ডনোট করে নিয়েছিলাম যেখানে অধ্যায়গুলোর শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় লাইনগুলো ছিলো যা আমাকে ভর্তি পরীক্ষার আগে রিভাইসে দিতে অনেক সাহায্য করেছিলো। আর একটি বিষয় হলো ফিজিক্সের ম্যাথ নিয়ে অনেকেই ভয়ে থাকে।কিন্তু বিশ্বাস করে পরীক্ষায় কখনোই খুব কঠিন কোনো অংক দিবে না।তুমি মুখে মুখে করতে পারো এমন ম্যাথই দিবপ।আর অনুশীলনীর ছোট ম্যাথগুলো বারবার দেখা উচিত। জিকে আর ইংলিশ:এ দুটি টপিক নিয়ে সবাই আমরা কমবেশি ভয়ে থাকি কারণ এদের নিদির্ষ্ট কোনো সিলেবাস নাই।জিকের জন্য যদিও সিলেবাস দেয়া থাকে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ কিন্তু এই সিলেবাসটাও অনেক বড়।বিগত বছরের মেডিকেল,ডেন্টাল,বিসিএস,ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা আর চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো যদি আমরা ভালোভাবে সলভ করি তাহলে ৯০% প্রস্তুতি হয়ে যায়। তার পাশাপাশি যেকোনো জিকে বই থেকে মুক্তিযুদ্ধ আর সাম্প্রতিক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপত্য নিয়ে পড়া উচিত। আর ইংলিশের জন্য Synonym Antonym,proverb,translation,parts of speech,correction এসব ভালো করে পড়া উচিত। মেডিকেলের জন্য প্রেপ নেয়া আগে থেকেই শুরু করা উচিত।মাত্র ২-৩মাসের মধ্যে এতো বড় সিলেবাস পড়া সম্ভব না।আমি এইচএসসির আগে থেকেই আফসানা আপুর প্রিমেডিকেলের ক্লাস করতাম পরীক্ষা দিতাম।তার ফলে আমি আগে থেকেই ধারণা পেয়ে গিয়েছিলাম ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় আমাকে কিভাবে পড়তে হবে।আপুর ক্লাসগুলো এককথায় ছিলো অসাধারণ। আপুর দাগানো লাইনগুলো শেষ ১৫দিনের রিভিশন অনেক সহজ করে দিয়েছিল। আর আপুর নোটগুলে পড়ে এক্সট্রা ইনফো জানতে পারতাম কোনো অধ্যায়ের। তুমি যদি নিয়মিত পড়াশোনা করো আর সবগুলো বিষয়ে সমান গুরুত্ব দাও তুমি খুব সহজেই মেডিকেলের একটি সিট নিজের জন্য নিশ্চিত করতে পারবে।দিনশেষে আমাদের সমাজের জন্য একজন ভালো ডাক্তার থেকেও জরুরি একজন ভালো মানুষ। সবসময় চেষ্টা করবে সৎ থাকার। সৎপথে নিজের স্বপ্নকে অর্জন করার। কেউ অসৎ উপায়ে স্বপ্ন অর্জন করে কখনো সুখী হতে পারে না।আর যে যার সৃষ্টিকর্তার কাছে সবসময় প্রার্থনা করবে। মডের সাথে তোমাদের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যাত্রা শুভ হোক।
কিন্তু এই একটা প্রশ্নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলোতে কম সময় দেওয়া চলবে না ।তাহলে বরং আরো ক্ষতি হবে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাটা আসলে অনেকটাই আবেগের। একদম ছোট্ট কাল থেকে অনেকের ইচ্ছা থাকে গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে সাদা অ্যাপ্রোনের আবরণে নিজেকে জড়িয়ে নেবে। তাই আমি বলব ভর্তি পরীক্ষার প্রিপারেশন নেওয়া অন্তত সেকেন্ড ইয়ার থেকেই শুরু করা উচিত। আগের বছরের প্রশ্নগুলো যতটুকু সম্ভব বারবার পড়া উচিত।আর যে কোন বিষয় বা চ্যাপ্টার পড়ার আগে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে যে, আমি এখান থেকে কতটুকু পড়বো। আর কোন বিষয়গুলো তে আমাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে পড়াটা অনেকটাই গুছিয়ে আসে। MOD এর আফসানা আপুর কথা না বললে তো এই লেখা অপূর্ণ থেকে যায় ।আপুর ক্লাস গুলো যে কতটা আমাকে সাহায্য করেছে সেটা আসলে বলার বাইরে। একদম খ খুঁটিনাটি সহ যেই লাইনগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আপু এগুলো বারবার বলতেন আর পড়িয়ে দিতেন। তার জন্য এখানেও একগুচ্ছ শ্রদ্ধা আমি জানাতে চাই। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে গলায় স্টেথোস্কোপ আর গায়ে সাদা এপ্রোন জড়ানোর সৌভাগ্য দেবেন কিনা জানি না। কিন্তু তুমি যদি কষ্ট কর, নিজেকে চেনো ,জানো, সৎ থাকো, তাহলেই এডমিশন নামক ভয়ানক পিরিয়ড টা তে তুমি যতটুকু শ্রম দেবে,বিশ্বাস করো-কোন কিছুই বিফলে যাবে না। এডমিশন পিরিয়ড টা অনেক কষ্টের-এ কথা যেমন সত্য,ঠিক তেমনি অনেক কিছু অর্জন করারও এটাই মোক্ষম সময়। তাই কষ্ট করে যাও আর নিজের সৃষ্টিকর্তার কাছে বারবার করে চাও। সফলতা ,মানসিক শান্তি যেকোনোভাবেই হোক তোমার কাছে ধরা দিবেই। সেটা যেই রূপে-ই হোক।তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল,দোয়া রইল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে যেন তোমরা পা রাখতে পারো, নিজের বাবা-মায়ের হাস্যজ্জল মুখখানা নিয়ে যেন আসতে পারো,সেই কামনা করছি।
রিফাহ্ নানজিবা শিতি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
এমবিবিএস ১ম বর্ষ
সেশন: ২২-২৩
জাতীয় মেধায় ১৮১তম
১/পরিচয় পর্ব: আসসালামুআলাইকুম।আমি সবিকুন তাহরিম সংগী,ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত (সেশন-২০২২-২০২৩)। আমার বেড়ে ওঠা যানজট,কোলাহল পূর্ণ এ ঢাকা শহরেই।ছোটবেলা বেলা থেকেই আমার স্কুল কে কেন্দ্র করেই ছিল আমার বেড়ে ওঠা।বাসা থেকে স্কুল এবং স্কুল থেকে বাসা,মাঝখানের সংযোগ সূত্র বেইলি রোড,এই ছিলো স্কুল জীবনে আমার গণ্ডি।বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে তখনও তেমন জানি না,শুধু জানি বড় হয়ে ডাক্তার হবো।ছোটবেলা থেকেই এই একটা পেশার প্রতি আমার ছিলো অসম্ভব এক আকর্ষণ,সেই সাথে একরাশ আবেগ।কখনও নিজেকে হোয়াইট এপ্রোন ছাড়া অন্য কিছুতে কল্পনা করিনি।কিন্তু হ্যাঁ,ডাক্তার কীভাবে হয়,বা ডাক্তার হতে হলে কী কী পড়তে হয় ,সে সম্পর্কে আমার জ্ঞান একেবারেই শূন্য ছিলো বলা চলে।তবে ওই যে,ওই চিরায়ত আবেগ,ছোটবেলা থেকেই আমার মধ্যে যে ডাক্তার হবার স্বপ্নের বীজ বুনে দেয়া হয়েছিল,সেই স্বপ্নকে লালন করতে করতেই বড় হোলাম।তবে হ্যাঁ ,এতোটুকু জানতাম,আমি পৃথিবীর সেরা মেডিকেল এ পড়ে সেরার সেরা ডাক্তার হতে চাই,যদিও বাস্তবিক জ্ঞান ছিলো না মোটেই।যেহেতু আমি আমার পরিবারের বড় সন্তান,আমার পড়াশোনা থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই আমার পরিবারের ছিলো গভীর আগ্রহ,আমি কারো অভিজ্ঞতা শুনে না,বরং নিজেই নিজের জগৎকে আবিষ্কার করতে করতে,নিজের ডাক্তার হবার স্বপ্নকে লালন করে এগিয়ে যেতে থাকলাম। একদম ছোট থেকে যদি শুরু করি,আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরাই ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা,তাদের প্রতিটি নির্দেশ আমার কাছে বেদ বাক্য স্বরূপ।তাই ছোট থেকেই কখনো শিক্ষকের কথার অবাধ্য ছিলাম না,ক্লাস এর পড়া থেকে শুরু করে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া,বাড়ির কাজ সময়মতো করা,কোনো কিছুরই অবাধ্য হইনি কখনও।পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলাম ছোট থেকেই,তাই ক্লাস এর রেজাল্ট ও বরাবরের মতোই ভালো ছিল।সেই সাথে প্রতিটি কাজে এবং সবসময় আমার মাবাবার সাপোর্ট আমাকে এক নতুন ভাবে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।আমার অভিজ্ঞতা বলে,মানুষ কোথাও ফাঁকি দিয়ে কখনও পার পায় না,হয়তো সমাজ বা বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচয় এর পড়াশোনার সাথে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বা পরবর্তীতে ডাক্তার হওয়ার সাথে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই,কিন্তু এখানেও যদি ফাঁকি দেয়া হয় তবে পরবর্তীতে কোথাও না কোথাও তার জন্যে সাফার করতে হবে।তাই আমি বলবো কোথাও কোনো খামতি না থাকা,যখন যেটা পড়া দরকার সেটা সময়মতো শেষ করে ফেলা,এটাই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করার প্রাথমিক ধাপ।এবং আমার মতো যারা ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখো,তাদের উচিত হবে কলেজে ভর্তি হবা মাত্রই এ সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন নিয়ে খোঁজখবর নেয়া এবং ধীরে ধীরে প্রিপারেশন শুরু করা। ২/কোভিড এর অনিশ্চয়তার মধ্যে কলেজ,অত:পর মডের সাথে পরিচয়: আমাদের এসএসসি (২০২০) শেষ হওয়ার পরপরই মার্চ মাস থেকেই কোভিড এর জন্যে লক ডাউন শুরু হয়ে যায়।এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মাঝে কলেজে ভর্তি হোলাম।তখন যেহেতু অফলাইন ক্লাস একেবারেই বন্ধ ছিলো,অনলাইন ই ছিলো ক্লাস করার একমাত্র মাধ্যম।একাডেমিক এর জন্যে আলাদা আলাদা টিচার এর কাছে প্রাইভেট এ ভর্তি হোলাম এবং ক্লাস কন্টিনিউ করতে থাকলাম।মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক উপাদান হলো সঠিক গাইড লাইন।এ প্রসঙ্গে আমার একাডেমিক বায়োলজি টিচার হিমেল স্যার নাম না নিলেই নয়।ওনার গাইড লাইন আমাকে আমার প্রিপারেশন নেয়ার জন্যে নতুন এক দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।একাডেমিক এর পাশাপাশি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্যে একদম শুরু থেকেই প্রিপারেশন শুরু করি।তাই অনলাইন এ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হই।ঠিক এভাবেই এক ফ্রেন্ডের ইনভিটেশনের মাধ্যমেই আফসানা আপুর মেডিকেল আওয়ার ড্রিম গ্রুপের সাথে পরিচয়।ফেসবুকে ঢুকেই যখন দেখতাম আপু বোর্ডে বিভিন্ন পরীক্ষার রেজাল্ট দিচ্ছেন,ব্যাপারটা আমাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যে আগ্রহী করে তোলে।পরর্বতীতে পরীক্ষা দিয়ে যখন বুঝতে পারি অনেক কিছুই পারছি না,অথচ আমারই সহপাঠী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরীক্ষা দিয়ে বোর্ডে নাম তুলছে,তখন মনে হলো এবার ভালো করেই প্রিপারেশন নেয়া উচিত,আফসানা আপুর বোর্ডে নাম তোলার জন্যে হলেও প্রিপারেশন নিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।সেই থেকে মেডিকেল আওয়ার ড্রিমের সাথে যাত্রা শুরু। ৩/মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ভিত্তিক সাবজেক্টগুলোর প্রিপারেশন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সাবজেক্টগুলোর মধ্যে আছে-বায়োলজি,কেমিস্ট্রি,ফিজিক্স,জিকে এবং ইংলিশ।বায়োলজি এর ক্ষেত্রে জুলজির জন্যে গাজী আজমল স্যার,বোটানির জন্যে আবুল হাসান স্যার,কেমিস্ট্রির জন্যে হাজারী স্যার এবং ফিজিক্সের জন্যে ইসহাক স্যার এর বই পড়তে হবে।কলেজের সময়টা থেকেই এই তিনটা সাবজেক্টে একাডেমিকের পাশাপাশি মেডিকেল এর জন্যে অনেক ভালো একটা প্রিপারেশন নিয়ে রাখতে হবে। একাডেমিকের জন্যে প্রিপারেশন: একাডেমিক এর ক্ষেত্রে মূল বই পড়ার পাশাপাশি টেস্ট পেপার সলভ করতে হবে একদম শুরু থেকেই।প্রতিটি চ্যাপ্টার শেষ হওয়ার সাথে সাথেই টেস্ট পেপার থেকে বোর্ডে আসা বিভিন্ন প্রশ্নগুলো সলভ করার কোনো বিকল্প নেই।সেই সাথে ফিজিক্স ,কেমিস্ট্রিতে ম্যাথ এ ভালো করার জন্যে মূল বইয়ের অনুশীলনীর ম্যাথগুলো করে ফেলতে হবে,পাশাপাশি অনুশীলনীর এমসিইকিউ সলভ করা মাস্ট। মেডিকেল অ্যাডমিশন ভিত্তিক প্রিপারেশন: একাডেমিক এর পাশাপাশি মেডিকেল ভিত্তিক প্রিপারেশন নেয়ার জন্যে প্রতিটি চ্যাপ্টার শেষ করেই মেডিকেল এ আসা কোশ্চেন গুলো সলভ করে ফেলতে হবে,প্রিভিয়াস ইয়ারের কোশ্চেন সম্পর্কে সম্যক একটা ধারণা থাকা আবশ্যক।সেই সাথে এই টপিক গুলোই বই থেকে জোর দিয়ে পরে ফেলতে হবে।মনে রাখতে হবে,মেডিকেল অ্যাডমিশনের জন্যে মূল বইয়ের কোনো বিকল্পই নেই। ৪/প্রিমেডিকেল সংক্রান্ত তথ্যাদি: আগেই বলেছি,মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্টে ভালো করার প্রথম পদক্ষেপই হলো সঠিক গাইডলাইন।প্রিমেডিকেল এর অপর নাম তোমরা সেই গাইডলাইন কেই বলতে পারো।কী পড়তে হবে,কোথা থেকে পড়তে হবে,কেনো পড়তে হবে,কোশ্চেন সলভ করার গুরুত্ব কোথায় এবং কতটুকু সে সম্পর্কে সম্যক একটা ধারণা তোমরা প্রিমেডিকেল থেকেই পেও উত্তর বেশির ভাগ মুল বই এবং গুরুত্বপূর্ণ দাগানো তথ্যের মধ্যেই থাকে,কারণ বেসিক তো সব লেখকের বইয়ে একই তাই না! ৫. কোয়েশ্চেন ব্যাংক প্রতিদিন অল্প করে সলভ করতে হবে। বিশেষ করে বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন গুলো এবং পাশাপাশি বিসিএসের সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজি প্রশ্ন।এক্ষেত্রেও কখনোই প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করা যাবে না,,বুঝে বুঝে সমাধান করতে হবে। ৬. অনেকসময় গাইডে বা প্রশ্নব্যাংকে ভুল উত্তর দেয়া থাকে যা অনেকেই না বুঝে মুখস্থ করে ফেলে।এরকম কখনোই করা যাবে না। ৭. একাধিক বইয়ে একই প্রশ্নের ভিন্ন উত্তর থাকলে অবশ্যই মুল বইয়ের উত্তরটা নিতে হবে। ৮. প্রতিদিন যে চ্যাপ্টার পড়া হবে তার উপর পরীক্ষা দিতে হবে। কোচিংয়ের ডেইলি এক্সাম গুলো বাদ দেয়া যাবে না, অনলাইনে আপুর এমসিকিউ এক্সাম গুলোও নিয়মিত দিবে। এর ফলে পরীক্ষার আগে কনফিডেন্স আসবে।তবে হ্যা,নাম্বার কম পেলে হতাশ হওয়া যাবে না,কারণ এই নাম্বার কখনোই তুমি আসল পরিক্ষায় কত পাবে তা নির্ধারণ করে না। জুনিয়রদের উদ্দেশ্যে কিছু পরামর্শ : ১. অতিরিক্ত চিন্তা কখনোই করবে না। ২. পড়ার সময় নিয়ে কখনো নিজেকে অপরের সাথে তুলনা করবে না,,কারণ সবার পড়ার ধরণ এবং সামর্থ্য ভিন্ন। ৩. প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করার চেষ্টা করবে। ৪. ঘুম যেন পর্যাপ্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমালে তুমি পড়া ভালে মনে রাখতে পারবে না,ফলে ভালো আউটপুটও দিতে পারবে না। আবার অতিরিক্ত ঘুমানোও যাবে না। দৈনিক ছয় ঘন্টা ঘুম তোমার জন্য উপযোগী হবে ইনশাআল্লাহ। অধিক রাত জেগে পড়ার চেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ভোরে উঠে পড়লে কিন্তু তা মেমোরিতে দীর্ঘস্থায়ী হয়। ৫. স্বল্প সময়ে এতো পড়া গুছিয়ে নিতে নিতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু ভেঙে পড়া যাবে না,,সময় কম বলে ভয় পাওয়া যাবে না। মনে রাখবে,সবার জন্য যেই সময় বরাদ্দ, তোমার জন্য এর ব্যতিক্রম নয়। বাকিরা পারলে তুমিও পারবে।দরকার শুধু ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাস। ৬. সৃষ্টিকর্তার উপর সর্বদা ভরসা রেখে নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে চেষ্টা করবে। তবে ফলাফলের জন্য নির্ভর করবে সৃষ্টিকর্তার উপর।সর্বদা মাথায় রাখবে সেটাই তিনি তোমাকে দিবেন যেটা তোমার জন্য কল্যাণকর। আপাতদৃষ্টিতে আমরা কেউই জানি না কোন বিষয় টা আমাদের জন্য কল্যানজনক কিংবা ক্ষতিকর সুতরাং, ভবিষ্যত নিয়ে,চান্স হবে কি হবে না তা নিয়ে উৎকণ্ঠিত হওয়া যাবে না। এটা শুধু এডমিশনের জন্য নয়,জীবনের সব ক্ষেত্রেই এ বিষয় টা মাথায় রাখতে হবে। ৭.সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে আবেদন করবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে ফেলবে। পরীক্ষার সময় করণীয়- ১. পরীক্ষার আগের রাতেই সব গুছিয়ে রাখবে।অবশ্যই পরিক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছাবে। ২.ওএমআর শিটে সতর্কতার সাথে নাম রোল প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ করবে। কোনো তাড়াহুড়ো করবে না।কিছু না বুঝলে ইনভিজিলেটরের কাছ থেকে জেনে নিবে। ৩. প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর প্রথমেই পুরো প্রশ্নপত্র পড়া শুরু করবে না, এতে সময় নষ্ট হবে।সিরিয়ালি প্রশ্মগুলো একে একে পড়ে যাবে, যেটা জানা প্রশ্ন থাকবে সেটা দাগাবে। এভাবে প্রথম ৩০ মিনিটে জানা প্রশ্নগুলো দাগাবে,তারপর বাকিগুলো বুঝে ঠান্ডা মাথায় দাগাবে। ৪. সময়ের কথা মাথায় রাখবে ৫. ভিন্ন ধর্মী একদমই অজানা প্রশ্ন পেলে ঘাবড়াবে না। কারণ যা তোমার অজানা তা সবারই অজানা। ঐপ্রশ্নগুলোর জন্য কখনো চান্স মিস হবে না বরং কোনো জানা জিনিস যদি ভুল করে আস তবে সেটাই হতে পারে চান্স মিস হওয়ার প্রধান কারণ। ৬. অনেক সময় এক দুটো প্রশ্ন দাগাতে গিয়ে ভুল হয়েই যায়। ভয় পাবে না,,বাকি প্রশ্নগুলো ঠান্ডা মাথায় শেষ করবে।এরকম কিন্তু আমারও হয়ে ছিল।আমি ভয় পাই নি আলহামদুলিল্লাহ। ৭. সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রশ্ন দাগানোর চেষ্টা করবে।আনকমন হলে চিন্তা করে সবচেয়ে কাছাকাছি পয়েন্টটি উত্তর করবে।অনেকে দেখা যায় অনেক বেশি সংখ্যক প্রশ্ন ছেড়ে আসে উত্তর করতে চায় না। ফলে নম্বর কিন্তু কমে যায়। ৮. বিগত বছরের প্রশ্নের ধারা অনুযায়ী এখন একাধিক উত্তর সংবলিত প্রশ্ন করা হয় না।সুতরাং,, এরকম কোনো প্রশ্ন আসলে সবচেয়ে সঠিক টাই উত্তর করবে। ৯. সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে পরীক্ষা শুরু করবে এবং শেষ করবে। লিখতে লিখতে কত কথা, কত কিছু লিখে ফেললাম!এখন তবে উপসংহার টানি! এইযে এত পরিশ্রম, অধ্যবসায়, কষ্ট; আচ্ছা, উদ্দেশ্য কি শুধুই একজন চিকিৎসক হওয়া? নাতো, আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত একজন সৎ, দক্ষ এবং উত্তম চিকিৎসক। মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে।সুতরাং, একজন অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা দেওয়া মানে কিন্তু আল্লাহর সেরা সৃষ্টিকে সেবা দেওয়া। আর এটা ঠিক কত বড় সৌভাগ্য তা ভাষায় প্রকাশ করার অবকাশ রাখে না।আর এমন উত্তম কিছু পাওয়ার জন্য একটু পরিশ্রম তো করতেই হবে তাই না!একটু ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম ; পৌঁছে দিবে তোমাকে তোমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাও।এডমিশন যাত্রা তোমার জন্য সুগম হবে ইনশাআল্লাহ।
ছামিয়া জামান জাতীয়
মেধাক্রম-১০৪
আসসালামুআলাইকুম আমি সানজিদা আক্তার নুপুর। জন্ম কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার জাফরপুর গ্রামে। পড়াশুনা শুরু হয় লাকসামের লিটল চিল্ড্রেন স্কুল থেকে। তারপর প্লে, নার্সারি কমপ্লিট করে ভর্তি হই নশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।মুলত পড়াশুনা শুরু হয় সেখান থেকেই।ছোট থেকেই পড়াশুনায় আগ্রহী ছিলাম। ছোট থেকেই আব্বু সবসময় একটা কথা বলতো আমাকে।বড় হয়ে এমন কিছু করবা যাতে তোমার পরিচয়ে আমরা পরিচিত হতে পারি। তারপর ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পারি যে 'ডাক্তার' পেশাটা আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করে। যখনই ডাক্তারের চোম্বারে যেতাম কোনো কারনে, তাদের প্রতিটা জিনিস আমাকে অনেক অনেক বেশি আকৃষ্ট করতো। ঠিক করলাম, ডাক্তার হতে চাই আমি। তারপর প্রাইমারি শেষ করে ভর্তি হই নাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।সেখান থেকে এস এস সি পাস করে ভর্তি হই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে। ভিক্টোরিয়া কলেজ ও আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান ছিল।ছোট থেকে অনেক সুনাম শুনেছিলাম এই কলেজের। কলেজ লাইফের শুরু থেকেই পড়শুনায় অনেক সিরিয়াস ছিলাম। নিজের স্বপ্ন পুরনের জন্য পুরো ইন্টার লাইফের প্রত্যেকটা দিনকে কাজে লাগানো যে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি জানতাম। কলেজ যেহেতু বাসা থেকে বেশ দূরে ছিল তাই হোস্টেলে থেকে পড়া শুনা করতে হয়েছিল ইন্টার লাইফে। প্রথমে এডজাস্ট করতে অনেক কষ্ট হয়েছিল।হোস্টেলে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু স্বপ্ন পূরনের জন্য এটুকু কষ্ট তো করতেই হবে।নিজের মনকে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম। বায়োলজি, কেমিস্ট্রি,ফিজিক্স এই সাবজেক্ট গুলা একাডেমিক এর পাশাপাশি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আলোকেও পড়ে রাখতাম। তবে ভয়ে ছিলাম জিকে ইংলিশ নিয়ে। ইংরেজিতে আমি বরাবরি একটু দূর্বল ছিলাম আর জিকে নিয়ে তো কোনো ধারণাই ছিল না। তারপর আমার রুমমেট একদিন আমাকে আফসানা আপুর জিকে ক্লাস গুলো করার সাজেশন দিল। তার এক মাসের মধ্যেই আপু আমাদের ব্যাচের জন্যে জিকেই কোর্স টা নিয়ে আসে। প্রথমে একটু দ্বন্দ্বে ছিলাম,যদি এই প্রিপারেশন নিতে গিয়ে আমার একাডেমিক প্রিপারেশনের ক্ষতি হয়! যাই হোক, দুদিন ভাবনা চিন্তা করার পর আল্লাহর নাম নিয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম মডের কোর্স টাতে। সত্যি কথা বলতে MAT এর প্রিপারেশন নেয়ার ক্ষেত্রে আমার সবচেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত ছিল আগে থেকেই জিকে ই তে এরকম প্রিপারেশন নিয়ে রাখা। যেটা আমি এইচ এস সি পরবর্তী সময়ে অনুধাবন করতে পেরেছিলাম।তখন আমাকে খুব কম জিনিস ই নতুন করে পড়তে হয়েছিল। সে সময় যেখানে আমার বাকি সব মেডিকেল প্রত্যাশী বন্ধুরা জিকে ই নিয়ে হতাশায় ভুগছিল, তখন আমি শুধু আমার আগের পড়াগুলো রিভাইস করছিলাম। মেডিকেল প্রিপারেশনের ক্ষেত্রে আমার আরেকটা উত্তম সিদ্ধান্ত ছিল প্রি-মেডিকেল কোর্স করা। আগেি বলেছি,আমি সব গুলা সাবজেক্ট একাডেমিক এর পাশাপাশি মেডিকেল স্টাইলেও পড়ে রাখতাম। কিন্তু মেডিকেল প্রিপারেশন নেয়ার ক্ষেত্রে কি পড়তে হবে আর কোনটা বাদ দিতে হবে সেটা বুঝতে পারাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেজন্য দরকার একটা প্রপার গাইডলাইন, যা আমি প্রি মেডিকেল কোর্স করার মাধ্যমে পেয়েছিলাম। সবমিলিয়ে, আমার এডমিশন জার্নিতে আমি MOD থেকে অনেক ভাবে উপকৃত হয়েছিলাম।সেজন্য আমি আফসানা আপুর কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। এবং জুনিয়র দের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যদি তোমার স্বপ্ন মেডিকেল হয় তবে ইন্টার লাইফের প্রথম থেকেই সেটার জন্যে নিজেকে প্রস্তত করতে হবে।আর সঠিক প্রস্তুতির জন্যে অবশ্যই সঠিক গাইনলাইন প্রয়োজন।মনে রাখবা, জীবনে সফলতার একমাত্র শর্টকার্ট হলো সঠিক পথে পরিশ্রম, সৎ পথে চেষ্টা আর অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার সাহায্য ছাড়া সফলতার কথা চিন্তাও করা যায় না। তাই সর্বদা সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের সফলতার জন্যে সাহায্য পার্থনা করবা। সকলের জন্যে অনেক শুভকামনা।আর আমার জন্যে দোয়া করবা যাতে আমি ভালোভাবে পড়াশুনা করতে পারি এবং একজন ভালো ও মানবিক চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। ধন্যবাদ সকলকে।
সানজিদা আক্তার নুপুর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
এমবিবিএস প্রথম বর্ষ(২০২২-২৩ সেশন)
মেরিট : ১০৭ তম